আল্লার পবিত্র তখতর দরশন (৪:১-৫:১৪)
4
আল্লার তখতর ছামনে এবাদত
এরবাদে আমি দরশন দেখলাম, বেহেস্তর এখান দুয়ার খুলা আছে। আর আমি তান গলার আওয়াজ হুনলাম, শিংগার আওয়াজর লাখান যেইন আগে মাতিছলা, তাইন আমারে ডাক দিলা, কইলা, “তুমি অনো উঠিয়া আও। আমি অখন তুমারে দেখাইমু, এরবাদে কিতা কিতা নিচ্চিত ঘটিবো।” ডাক হুনার লগে লগেউ আমি পাক রুহে কামিল অইলাম, আর দেখলাম, বেহেস্তর মাজে এখান তখত আছে, অউ তখতর উপরে একজন বওয়াত আছইন। এন ছুরত অইলো, দামি হীরা আর লাল-মনির লাখান। ই তখতর চাইরো গালাবায় আছিল রংধেনু, ইতা দেখতে এক্কেরে কছুয়া পান্না মনির লাখান। অউ তখতর চাইরো কান্দাবায় আরো চব্বিশ খান তখত আছিল, হউ তখতো বওয়াত আছলা চব্বিশ জন মুরব্বি নেতা। এরার লেবাছ আছিল ধলা চকচকা আর মাথাত আছিল সোনার তাজ। মাজ খানর তখত থাকি মেঘর জিলকানি, গুড়-গুড়ি ডাক আর বেজুইতা ঠাঠারি শব্দ বারনিত আছিল। এর ছামনে সাতটা মুশাল জালাইল আছিল, ই মুশাল অইলো আল্লার সাত নমুনার রুহ। তখতর ছামনে ফটিকর গ্লাসর লাখান পরিস্কার কাচর এক দরিয়া আছিল। আর অউ মাজর তখতর চাইরো গালাত চাইর জন জানদার আছিল, এরার ছামনে-পিছে দুইওবায় চউখ অকলে ভরা। পয়লা জানদারটা দেখতে সিংহর লাখান, দুছরাটা বিছালর লাখান, তিন নম্বরটা মানষর লাখান আর চাইর নম্বরটা উড়াল দেওরা চিলর লাখান। অউ চাইরো জানদারর পরতেকর ছয়টা করি ডাখনা আছিল, আর বারে-ভিতরে চাইরোবায় চউখ আছিল। তারা দিন-রাইত হামেশা অউ জিকির কররা,
 
“কুদ্দুছুন, কুদ্দুছুন, কুদ্দুছুন, রাব্বু ইলাহুল ক্বাদির,
কানা ওয়া-হুয়া কাইনুছ ছাইয়াতিন।
পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র আল্লা মাবুদ সর্ব-শক্তিমান,
যেইন আছলা, যেইন আছইন, আর যেইন হামেশা রইবা।”
 
যেইন চিরকালিন জিন্দা, যেইন তখতো বওয়াত আছইন, অউ জানদার অকলে যেবলাউ তান তারিফ, সম্মান আর শুকরিয়া জানাইন, 10 অউ সময় যেইন তখতো বওয়াত আছইন, যেইন চিরকালিন জিন্দা, এন ছামনে হউ চব্বিশ জন মুরব্বি নেতা নতো অইয়া সইজদা করইন। ই নেতা অকলে যারযির মাথার তাজ সিংহাসনর ছামনে খুলিয়া থইয়া কইন,
 
11 “ও আমরার মাবুদ আল্লা,
তুমি তো ইজ্জত, তারিফ আর কুদরতি খেমতার যোইগ্য।
তুমিউ তো হকলতা পয়দা করছো,
তুমার মর্জিয়ে হকলতা পয়দা অইছে আর টিকিয়া আছে।”